শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
৩৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই ইয়াবা ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব ১০ মুন্সীগঞ্জে ০১ টি বিদেশী পিস্তল ও ০২ টি ম্যাগাজিনসহ মোহন (৩৯) র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। সারা দেশে সাংবাদিক দের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। নড়াইলের হাসিম মোল্যা হত্যা মামলার ০৮ জন আসামী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। জুয়া খেলার সময় ১০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: নৌকা মাঝি খুন কেরাণীগঞ্জের গোলামবাজারে ব্যবসায়ী মীর জুবায়ের হত্যা মামলার ০৩ জন আসামী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। কেরানীগঞ্জে কদমতলী আল্লাহ দান নামে একটি রিক্সার গ্যারেজে থামছে না জুয়া, বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি। মাদারীপুরের হত্যা মামলার আসামী আল আমিন (২৮) ঢাকার কেরাণীগঞ্জে র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। র‌্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা কেরানীগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় দেশ জুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভ ঢাকা জার্ণালিস্ট কাউন্সিলের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এমভি নাসরিন- ১ ডুবি : ১৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে

২০০৩ সালে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনায় এমভি নাসরিন-১ ডুবির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার হাইকোর্টের রায়ে নিহতদের প্রতি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহত অবস্থায় বেঁচে থাকাদের এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এ সংক্রান্ত জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে রায় দেন।

শুনানিতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও সুব্রত চৌধুরী। অন্যদিকে এমভি নাসরিন-১ এর মালিকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী ও ইশরাত হাসান।

রায়ে নিহতদের প্রতি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহত অবস্থায় বেঁচে থাকা মানুষদের এক লাখ টাকা করে দিতে বলা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চমালিক কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় ২০০৩ সালের ৮ জুলাই এমভি নাসরিন-১ ডুবিতে ১১০ জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হন ১৯৯ জন। ওই দুর্ঘটনায় লঞ্চটির মালিকও নিহত হন।

একই বছর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক লঞ্চডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত চারশ জনের তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী নৌ-দুর্যোগ ট্রাস্টি বোর্ড নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়। যার পরিমাণ ৭০ লাখ টাকার ওপর।

কিন্তু নিহত ব্যক্তিদের দেয়া ক্ষতিপূরণ অপ্রতুল দাবি করে ২০০৪ সালে ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে নিহত ১২১ জনের পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ মামলা করে ব্লাস্ট। মামলায় ২৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত © সংবাদ সবসময় - ২০২৩
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Marshal Host